নিউজ জাগো সোনারগাঁও
নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়া এখন সোনার হরিণ মতো হয়ে গেছে। বিদেশগামী যাত্রীরা অনেক স্বপ্ন নিয়ে পরিবার ছেড়ে বিদেশ গমন করে। নিজের ভাগ্যের চাকা ঘুরানোর পাশাপাশি দেশে রেমিট্যান্স পাঠায় এই রেমিট্যান্স যোদ্ধারা। যেখানে তাদের কাজ হওয়ার কথা তড়িৎ গতিতে বাস্তবে দেখা যায় তার বিপরীত চিত্র।সত্যায়িত করতে এক ধরনের বিড়ম্বনায় পড়তে হয় তাদের। এমনকি সত্যায়িত করতেও দিতে হয় উৎকোচ। বিভিন্ন অফিসে সত্যায়িত করতে পিয়নরা ২০০/৩০০ টাকা দাবি করে থাকে।এই সমস্যার শেষ না হতেই শুরু হয় নতুন সমস্যা। বিদেশগামী যাত্রীদের সকল কাগজপত্র ঠিক থাকার পরও পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য ভোগান্তী পোহাতে হচ্ছে। পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য ভুক্তভোগী নারায়ণগঞ্জ জেলার সকল থানার বিদেশগামী যাত্রীরা। যাত্রীরা বলেন, পূর্বেও তারা পুলিশ ক্লিয়ারেন্স কয়েক দফায় করেছে, এমন ভোগান্তিতে কখন পড়তে হয়নি। সকল কিছু ঠিক থাকার পরও গত প্রায় ০৭ মাস ধরে শতশত আবেদন বাতিল করা হচ্ছে বিভিন্ন মিথ্যে অযুহাতে ডিএসবি ইফতেখারের আইসিটি সিন্ডিকেট থেকে। ইফতেখার আসার পূর্বে এমন পরিস্থিতি ছিলনা ভোক্তভোগীসহ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করা বিভিন্ন কম্পিউটার দোকানদাররা। সঠিক ভাবে সত্যায়িত ও কাগজপত্র ঠিক থাকার পরও কারন দর্শানো হচ্ছে অনলাইনে-(Reason explained in remarks-ILLEGAL SCANNING ATTESTED. PLEASE RE APPLY WITH ORIGINAL ATTESTED)। এছাড়া প্রবাস ফেরত যাত্রীরা পূনরায় অন্য দেশে যাওয়ার জন্য পুলিশ ক্লিয়ান্সের জন্য আবেদন করলে তাদের আবেদন বাতিল করার কারন দর্শানো হচ্ছে-(Reason explained in remarks-(ATTESTED IS NOT CORRECT PLEASE RE APPLY WITH ATTESTED OF EMBASSY OF BANGLADESH AND AUTHORIZATION LETTER)| আবেনকারী রায়হান, নয়ন, সানাউল্লাহ, কামাল এবং মাসুদ রানার স্ব-শরীরে ডিএসবি অফিসে গিয়ে তাদের সত্যায়িত কাগজপত্র ও পাসপোর্ট দেখালে ইফতেখার বলে সত্যায়নকারী একেক সময় একেক রকম স্বাক্ষর করে তাই বাতিল করা হয়েছে, আপনারা পূনরায় অন্য কাউকে দিয়ে সত্যায়িত করে আবেদন করেন। এছাড়া আবেদনকারীদের তারা অন্য কোন সহযোগিতা করেনি। বরং পূনরায় আবেদন করে আবার অপেক্ষা করতে হয়েছে ৭/৮ দিন। এরপর আবার বাতিল করা হয় তাদের আবেদন কারন দর্শনো হয় পূর্বের ন্যায় একই মন্তব্য। এছাড়া বর্তমানে আবেদন সাবমিট করার পর ৫/৬ দিন পর রিসিভ করা হয় বা বাতিল করা হয়। এরপর থানা থেকে তদন্ত করে প্রিন্ট করতে সময় লাগে ৫/৬ দিন। সম্পূর্ণ কাজটি হতে প্রায় সময় লাগে ১৮/২০ দিন। যা গত ছয় মাস পূর্বে ২/১ দিনের মধ্যে আবেদন রিসিভ হতো ৬/৭ দিনের ডেলিভারী কাজ হয়ে যেতো। এছাড়া গোপন সূত্রে জানা যায় যে, সত্যায়িত ও কাগজপত্র ঠিক থাকুক বা না থাকুন ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা দিলেই ইফতেখার আবেদন করার কিছু সময়ের মধ্যে আবেদন রিসিভ করে দিচ্ছে। এছাড়া কেউ যদি ইউরোপ থাকে তাহলে ৫ হাজার এবং এশিয়ায় থাকলে ২ হাজার টাকায় আবেদন রিসিভ ও ডেলিভারী করে দিচ্ছে ইফতেখার। অনেক প্রমান আছে প্রত্যেক দোকানদারের নিকট। তথ্য মতে জানা যায় যে, প্রত্যেক থানার সামনের কম্পিউটার দোকানদের সাথে ইফতেখারের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সিন্ডিকেট রয়েছে। সে তাদের সাথে হোয়াটস্ আপ এ্যাপ দিয়ে সব সময় যোগাযোগ করে থাকে। আর তাদের সাথে লেনদেন হয় বেশির ভাগ বিকাশে তার বিকাশ নাম্বার গুলো হচ্ছে-০১৮৩৫-১৯৯১৯৮, ০১৮৯৩৪৩৮৪৬২, ০১৫১৫২৮৪৪৮৭। ভোক্তভোগীরা বলেন এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে আমাদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জন্য আমাদের লক্ষ লক্ষ টাকায় কেনা ভিসা বাতিল হয়ে যাবে। আমাদের অনেকের ভিসার মেয়াদ থাকে এক মাসের, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে যদি এক মাস লাগে তাহলে আমরা অন্যান্য কাজ করব কখন। এর পূর্বেও তার ব্যাপারে বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ আসে কিন্তু তারপর সে ক্ষান্ত হয়নি। তাই ভোক্তভোগীরা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল গনমাধ্যমকে বলেন, আমার কোনো পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে টাকা লেন-দেনের বা কাউকে হয়রানী করার অভিযোগ পেলে তদন্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ নিউজ জাগো সোনারগাঁও ২৪
Leave a Reply